মানুষের আয় বাড়ায় চিকন চাল খাওয়া বেড়েছে: কৃষিমন্ত্রী 

মানুষের আয় বাড়ায় চিকন চাল খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে বলে মন্তব্য কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।

বুধবার (৯ মার্চ) জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো ধরনের খাদ্য সংকট কিংবা হাহাকার হবে না। আমাদের যে ফুড স্টক আর প্রোডাক্টিভিটি আছে, ইনশাআল্লাহ কোনো মেজর প্রবলেম হবে না। সরকার অসহায় ও গরিব মানুষকে সহায়তা দিচ্ছে। মানুষের একটু কষ্ট বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে। আগামী এপ্রিলে আমরা বড় ফসলের মৌসুম পাব। আশা করছি, কোনো সমস্যা হবে না।

পণ্যের দাম বেড়ে যাবার বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি গতকাল টেলিফোন করে কক্সবাজারে কথা বলেছি। তারা বলেছে, মোটা চালের দাম বাড়ছে না। এটার দাম গত এক দেড় মাস যাবৎ ৪০-৪২ টাকার মধ্যেই আছে। সরু চালের দাম বাড়ছে, সরু চালের আসলেই ঘাটতি আছে। মানুষের ইনকাম বেড়েছে। এজন্য মানুষের মধ্যে চিকন চাল খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।

ঢাকায় এফএও’র সম্মেলন চলা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, এফএও কৃষি উন্নয়নে আমাদের কারিগরি সহযোগিতা করে থাকে। ডোনারদের সঙ্গে তারা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। কীটনাশকের ক্ষতিকর দিকগুলো যাতে কমাতে পারি, সেই বিষয়ে বৈশ্বিক যে নিয়ম তা তৈরি করে। আমরা এখন ৬-৭ মিলিয়ন টন ভুট্টা উৎপাদন করছি। বাংলাদেশের আবহাওয়া ভুট্টার জন্য খুবই ভালো। বাংলাদেশে ভুট্টা উৎপাদনের ক্ষেত্রে এফএও বড় ভূমিকা রেখেছে। আমি মনে করি আগামীতে এফএও’র সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে। আগামী অক্টোবরে তারা বিনিয়োগ সম্মেলন করবে। তারা আশা করছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাবেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা এখন পাইপ দিয়ে সেচ করতে চাই। এক্ষেত্রে অনেক বিনিয়োগ দরকার। আমরা লবণাক্ত অঞ্চলে বিভিন্ন শস্য উৎপাদন করতে যাচ্ছি। আশা করি, এ ক্ষেত্রে এফএও আমাদের কারিগরি সহায়তা দেবে।

(এফএও) মহাপরিচালক চু ডংইউ-এর নেতৃত্বে বৈঠকে কৃষি সচিব মো. সায়েদুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্বপশ্চিম/এনজে/এসকে